এম ডি অনিকঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পরকীয়ার জেরে দলিল লেখক মোশারফ হোসেন ভূইয়া নামের এক দলিল লিখককে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী পরকীয়া প্রেমিক মো. রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান,আজ দুপুরে আড়াইহাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী শাহিনুর আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করি। নিহতের স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোলায়মান বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা মামলা দায়ের করেছিলেন।
নিহত মোশারফের স্ত্রী শাহিনুর আক্তারের জবানবন্দি থেকে জানা যায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত কাল রাতে আগে থেকেই ঘরের জানালা খোলা রাখে শাহিনুর আক্তার। জানালায় কোন রড বা গ্রীল না থাকায় সহজেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করে পরকীয়া প্রেমিক রিপন হোসেন।এসময় শাহিনুর আক্তার ও রিপন হোসেন দুজনে মিলে ঘুমন্ত মোশারফকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে আহত করার পর বাথরুমে নিয়ে পড়নের লুঙ্গি গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মোশারফকে। এসময় ঘরে হৈচৈ হওয়ার বড় মেয়ে মিম আক্তার তার চাচাকে ফোন দিতে গেলে শাহিনুর আক্তার বলে ঘরে ডাকাত আসছে,কেউ কোন শব্দ করো না,তাহলে সবাইকে মেরে ফেলবে।তাই সহজেই মোশারফকে হত্যা করে পালিয়ে যায় পরকীয়া প্রেমিক রিপন হোসেন। রিপন পালিয়ে যাওয়ার পর শাহিনুর আক্তার ও তার মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে বলতে থাকে ডাকাত এসে মোশারফকে হত্যা করেছে। এই লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নের খালপাড় চেঙ্গাইন গ্রামে।
নিহত মোশারফ ভূইয়া খালপাড় চেঙ্গাইন এলাকার মৃত আঃ কাদির ভূইয়ার ছেলে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোশাররফের স্ত্রী কন্যা সহ ৪জনকে আটক করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন। পরবর্তীতে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে শাহিনুর আক্তার বলেন এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক রিপন ও শাহিনুর আক্তার এই দুজনেই জড়িত। তাই শাহিনুর আক্তারকে গ্রেফতারের দু দিন পর আজ বুধবার মামলার অন্যতম প্রধান আসামী রিপনকে গ্রেফতার হয়।